পুরুষের জিবে জল আনে সুদর্শন নারী !!!

ডেইলি মেইল ইউকে থেকে অনুবাদ করেছেন রবিউল করিম

মূল লেখাঃ Pretty women make a man's mouth water 
by  ISABEL OAKESHOTT

কথায় আছে," দেখিলে সুদর্শন রমণী  
             পুরুষের জিবে আসিবেই পানি"
 হ্যাঁ এটি শুধু আর কথার কথা নয়, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এর সত্যতা এখন প্রমাণিত।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে আকর্ষনীয় তরুণীদের সাথে অল্প সময়ের আলাপচারিতায় পুরুষের লালায় নাটকীয় পরিবর্তন হয়। সামান্যতম সময়ের মধুর আলাপচারিতাও জিবে জল এনে দেয়। পরস্পরকে যতবেশী ইমপ্রেস করতে চায়, লালাও ততই বেশী বের হয়!

আমেরিকার শিকাগো ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের উপর এই গবেষণা চালিয়েছেন। এতে তারা পুরুষের হরমোনের পরিবর্তন নিরীক্ষা করেছেন। অংশগ্রহণকারী ছাত্র ছাত্রীদের সবারই বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে আর প্রত্যেকেই ছিল হেটারোসেক্সুয়াল (অসমকামী) তাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় গল্প করতে দেয়া হয়। আর কথা বলার আগে এবং পরে তাদের লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

একজন তরুণীর সাথে মাত্র ৫ মিনিটের আলোচনা তার পুরুষ সহযোগীর লালারসে পুরুষের সেক্স হরমোন টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ অনেকখানি বাড়িয়ে দেয় যেখানে পুরুষে পুরুষে আলোচনায় এর পরিমাণে কোন হেরফের লক্ষ্য করা যায়নি। যে ছেলেটি নিজেকে যতটা মেলে ধরে তার সহযোগীর মন জয় করতে চেয়েছে তার টেস্টোস্টেরন লেভেল ততই বেড়েছে।

শিকাগো ইউনিভার্সিটির ইন্সটিটিউট অব মাইন্ড এন্ড বায়োলজির ডঃ জেমস রনী জানালেন, " আমি একথা বলব না যে ছেলেগুলোর লালা একেবারে গড়িয়ে পড়েছে, কিন্তু তাদের লালারসে লক্ষণীয় পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সামান্য সময়ের এই আলোচনার পর তাদের লালারসে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। সহযোগী তরুণীটির আগ্রহ বা তার নিজেকে খোলামেলা ভাবে তুলে ধরার প্রবণতার সাথে এই পরিবর্তনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়"

৫ মিনিটের এই কথোপকথন পর্বের পর ছেলেগুলিকে তাদের সহযোগী তরুণীদের সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হয় যে তারা আসলে কেমন আকর্ষনীয় ছিল। এবং ক্যাটাগরির সুবিধার্থে 'সেক্সি' 'কিউট' এজাতীয় অপশন গুলো তাদেরকে দেওয়া হয়।

মেয়েদেরকেও জিজ্ঞেস করা হয় ছেলেগুলো কেমন আচরণ করেছে, বিশেষতঃ তারা কতটা আগ্রহী বা আদৌ তারা তোমাদের মন জয় করার কোন চেষ্টা করেছিল কিনা?

এই তরুণীরা না ছিল প্রফেশনাল মডেলকন্যা বা আহামরি সুদর্শনা- যা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে অনেক নারীই পুরুষের জিবে জল আনতে সক্ষম !!!

এই গবেষণা পত্রটি আমেরিকান জার্নাল 'ইভোলিউশন এন্ড হিউম্যান বিহেভিওর' এর সর্বশেষ সংস্করণে ছাপা হয়েছে যেখানে গবেষক দলটি এই প্রক্রিয়াটিকে 'Courtship Response' বা 'প্রেমনিবেদন সাড়া' বলে অভিহিত করেছেন।

ধারণা করা হয় যে, একজন পরুষ আকর্ষণীয় একজন নারী সামনে আসলে তার মাথা পিটুইটারি গ্রন্থিকে সঙ্কেত পাঠায় যা টেস্টস্টেরন তৈরিতে টেস্টিসকে উদ্বুদ্ধ করে। আর টেস্টস্টেরনের মাত্রার ওঠানামা লালারসেই পরীক্ষা করা সবচে সহজ।